নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর ইয়ুথ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সমন্বয়ককে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, যখনি আমাদের সুযোগ হয়েছে তখনি সেই শৃঙ্খল ভেঙে আমরা বুক চিতিয়ে ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর শাহবাগে লড়াই করেছি। আমার সাথে যে সহযোদ্ধারা আছে তারাই জুলাইয়ের দিনগুলোতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুখের সামনে না করে দিয়ে আলাদা করে ব্যানার নিয়ে শাহবাগে আসত এ লড়াইয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার ডান পাশে আমার সহযোদ্ধা জিম আছে, সে সূর্যসেন হলের পোস্টেড নেতা ছিল। কিন্তু এই জিম এই অভ্যুত্থানে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যত পোস্টেট ছাত্রলীগের নেতা ছিল সবার আগে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে এবং এরপরই ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ নেওয়ার হিড়িক শুরু হয়ে যায়। এরপর ধীরে ধীরে ১ থেকে ১৫ জুলাই এবং ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট হয়।
সারজিস বলেন, তরুণ প্রজন্মের অতীতে ভুল থাকতে পারে, সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। এখন তারা নিজেদের সংশোধন করে নতুন বাংলাদেশ গড়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে নতুন করে যদি আগামীর পঞ্চগড় নিয়ে লড়াই শুরু করি, যে লড়াইয়ে কোনো ব্যক্তিস্বার্থ থাকবে না, কোনো দলীয় স্বার্থ থাকবে না, সবার আগে পঞ্চগড়ের মানুষের স্বার্থ থাকবে। এই লড়াই যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে করতে পারি, তাহলে আগামীতে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া যে জেলা বলা হয় পঞ্চগড়, সে জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে এগিয়ে যাওয়া জেলা হবে।
গুজব প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, গুজব লীগ গুজব ছড়াবে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে, মুখে চুনকালি মেখে যখন আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারে না, তখন কাঁটাতারের ওপার থেকে তারা আম্মার কথায় প্রোপাগান্ডা ছড়ায়।