ফুলগাজীতে দাওয়াত না দেওয়ায় আনন্দপুর বিএনপির সভাপতি জিয়া হায়দার নাসিরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে। আনন্দপুর ইউনিয়নের হাসানপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘আগ্রহী রক্তদাতা স্বেচ্ছাসেবী ফেনী’ রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে একটি আলোচনাসভা ও মিলনমেলার আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির নেতারা। এ সময় উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবীদের গালাগাল করে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের চেয়ার টেবিল ও ব্যানার ভাঙচুর ও ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। এ সময় স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকেই প্রাণে ভয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মহিন উদ্দিন পলাশ বলেন, সংগঠনের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও স্বেচ্ছাসেবীদের মিলনমেলা চলছিল। আমাদের কোনো সদস্য বা উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। দুপুরে হঠাৎ করে বিএনপির নেতা নাসিরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে হামলা চালান।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, ঘটনাটির ব্যাপারে অবগত হয়েছি। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জিয়া হায়দার নাসির বলেন, আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা গোলাপ চেয়ারম্যান ও ফখরুল আলম স্বপনকে দাওয়াত না দিয়ে তারা আওয়ামী লীগের নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় ব্যানার ছিঁড়ে স্থানীয়রা। চেয়ার ভাঙচুর করেছে। আমি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হয়েও অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাইনি। কিন্তু সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে প্রধান অতিথি করা হয়। এতে এমন আয়োজনে সবাই ক্ষুব্ধ হন। বিষয়টি উপজেলা শীর্ষ পর্যায়ে নেতাদের অবহিত করেছি।