ডাসার উপজেলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক আওয়ামী লীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। শনিবার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে ডাসার থানার ওসি মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান।
নিহত মো. আজিজ হাওলাদার উপজেলার ধামুসা গ্রামের মৃত আবদুল রহিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি কাঁঠালতলা বাজারে চায়ের দোকানের পাশাপাশি সুদের কারবার করতেন।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজিজ হাওলাদার প্রতিদিনের মত শুক্রবার বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চায়ের দোকান চালান। কিন্তু রাতে দোকান বন্ধ করে আর বাড়ি ফেরেননি।
সকালে স্ত্রী শাহিদা বেগম তার খোঁজে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় রাস্তার পাশে হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় আজিজের লাশ দেখতে পান। তারপর লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন।
আজিজের স্বজনরা দাবি করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থক ছিলেন। দলের সভা-সমাবেশ-মিছিলে তিনি নিয়মিত অংশ নিতেন। তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়।
আজিজের বড় ভাই মো. আব্দুল গণি হাওলাদার বলেন, আমার ভাইকে হাত-পা বেঁধে যারা নির্মমভাবে মারছে আমি প্রশাসনের কাছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। আমার ভাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল। তবে তাকে কী কারণে কারা খুন করেছে আমরা তা এখনও বুঝতে পারছি না।
ডাসার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফউজ্জামান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের এমন ত্যাগী কর্মীকে গামছা পেঁচিয়ে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার দাবি করছি।”
এ সময় ফেসবুকে তিনি আজিজ হাওলাদারের একটি ভিডিও সাক্ষাতকারও সংযুক্ত করেন। সেই ভিডিওতে আজিজ হাওলাদারকে বলতে শোনা যায়, “আমি বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি। কোনো কিছু পাওয়ার আশায় ভালোবাসি না। কোনো স্বার্থের জন্য ভালোবাসি না। ছোটবেলায় দেশ স্বাধীনের পরে শেখ সাবকে আমি নিজে দেখেছি। তারপর থেকেই আমি তাকে ভালোবাসি।”