ঘোড়াঘাটে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরের গোপনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শ্বশুর শাহজামাল প্রামাণিক (৬৫) বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি উপজেলার ৩ নং সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুরে।
অভিযুক্ত নারী জানান, আনুমানিক পনেরো বছরে আগে মনির প্রামাণিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। থাকার জায়গা না থাকায় শ্বশুর তার নিজের বাড়িতে তাদেরকে নিয়ে আসেন এবং রান্না ঘরের এক পাশে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সে সময় স্বামী মনির তিন সন্তানসহ তাকে রেখে কাজের জন্য অন্য জেলায় যান। কিছুদিন পর থেকে শ্বাশুড়ি ও শ্বশুরের সঙ্গে থাকার জায়গা নিয়ে ঝগড়া হত এবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলত। প্রায়ই তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ না করলে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিত।
জানা যায়, রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শ্বশুর শাহজামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর তাকে টেনে শোবার ঘরে নিয়ে যায় এবং অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে। সে সময় আগে থেকে নিজের কাছে রাখা ব্লেড দিয়ে শ্বশুর শাহজামালের গোপনাঙ্গ কেটে দেন তিনি।
তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ওই ঘরে গিয়ে শাহজামালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসান হাবীব বলেন, শনিবার রাত পৌনে ১০ টায় আহত শাহজামাল প্রামাণিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পুরুষাঙ্গে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলার বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় শাহজামাল প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।