গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মাথায় রেখে গ্যাস, ফার্নেস অয়েল থেকে উৎপাদন বাড়ানো এবং আদানির কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতা ব্যবহার করতে চায় সরকার। বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলছেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রাতেও লোডশেডিং থাকবে দেড় হাজার মেগাওয়াটের নিচে।
অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বকেয়া বিল, জ্বালানি সংকটসহ নানামুখী চাপে বিদ্যুৎ বিভাগ। তাদের শঙ্কা, লোডশেডিং ছাড়াতে পারে ৩ হাজার মেগাওয়াট।
রমজানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছাতে পারে সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এসময় দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। গ্রীষ্মে সেচ মৌসুম ও অতিরিক্ত গরমে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহারে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। গত বছর সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট থাকলেও, বেশিরভাগ সময় মিলেছে ১৫ হাজারের মধ্যে।
তখন লোডশেডিং ছাড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হচ্ছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদা মেটাতে আদানির ঝাড়খন্ডের কেন্দ্র থেকে পুরো সক্ষমতার বিদ্যুৎ চাওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হচ্ছে গ্যাস, ফার্নেস ওয়েলভিত্তিক কেন্দ্রে।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা ধরে আমরা কাজ করছি। কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ যেটা অ্যাভেইলেবল হবে, প্রাথমিক হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসরকারি খাতের কেন্দ্রগুলোর কাছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বড় অংকের বকেয়া। আদানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বকেয়া বিল পরিশোধেও গতি কম। সেইসঙ্গে শিল্প, সার কারখানায় গ্যাস নিশ্চিত করে বিদ্যুতে সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তারা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, এ বছর কতটা গরম পড়বে সেটাও আমরা জানি না। সবকিছু যদি আমাদের বিপক্ষে যায় তাহলে ডিমান্ড যা হবে তাতে আমি মনে করি সাংঘাতিক কষ্ট হবে এটা পূরণ করতে। সরকার তো নিজেই বলেছে দেড় হাজার মেগাওয়াট, আমার হিসেবে এটা ৩ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত সময় সময় লোডশেডিং করতে হবে।