আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’র মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের সমাবেশ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সেখানে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সাধারণ ছাত্র ও নাগরিকদেরও প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে যোগ দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে হবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে সারা বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে জানিয়ে নাহিদ লিখেছেন, ‘দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারো ঢাকা শহরে মার্চ করবে।’
তিনি লিখেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, জুলাই বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, ইসলাম বিরোধী, নারী বিরোধী, মানবতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থী সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।’
এর কিছুক্ষণ আগে এক স্ট্যাটাসে তিনটি দাবি জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।’
এর আগে, গতকাল রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার দুপুরেও এনসিপির নেতাকর্মীরা যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে বিকেলে থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজধানীর শাহবাগ মোড়।