এনসিপি’র যুব উইং ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করার সময় জুলাইয়ের গণআন্দোলনে আহত যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন যুবশক্তির নতুন কমিটির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ঘোষণা দেন, ‘নতুন কমিটির নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী শক্তি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল হবে।’
ঘোষণার পরপরই মঞ্চ থেকে নেতারা মিছিল শুরু করতে কার্যালয়ের সামনে এগিয়ে আসেন। তখন সেখানে উপস্থিত অন্তত অর্ধশত আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’ নেতাদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল।
আহতরা জানান, এনসিপির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে তারা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসেছেন। অনেকেই স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে বা কোমরে বেল্ট বেঁধে এসেছেন, কারও শরীরে এখনও সেলাই রয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠানে তাদের বসার জায়গা রাখা হয়নি, এমনকি প্রাপ্য সম্মানও দেওয়া হয়নি।
আহত যোদ্ধা ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘আমি পিজি হাসপাতাল থেকে এসেছি। পরিচয় দেওয়ার পরও আমাকে তিন জায়গায় বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। অনেকে ঢুকতেই পারেননি, বাইরে অবস্থান করতে হয়েছে।’
যুব নেতারা তাদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ সময় মঞ্চে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় শীর্ষ নেতারা ভিন্ন পথে মঞ্চ ত্যাগ করেন।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের জন্য মঞ্চের সামনে জায়গা রাখা হয়েছিল। অনেকে সেখানে বসেছিলেন। যারা পরে অভিযোগ করেছেন, তাদের সঙ্গে আমাদের অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্পর্ক নেই।’