তিতুমীর কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হেলাল উদ্দিন নাঈম (২৬) নামে এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাঈম তিতুমীর কলেজ শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমারজেন্সি ও ক্রাইম সেলের সদস্য।
গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।
ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন নাঈম বলেন, হল খোলার দাবিতে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারপিট শুরু করেন। পরে আমি গিয়ে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছিলাম। ভিডিও শুরুর ৮-৯ সেকেন্ডের ভেতরে আমাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বেধড়ক মারপিট করেন। পরে তারা আমাকে ভিসির রুমে নিয়ে কিছুক্ষণ আটকে রেখে আমার স্বীকারোক্তি নিতে চেয়েছিলেন। তারপরে আমার সহযোদ্ধারা সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে।
হেলাল উদ্দিন নাঈম
তিনি বলেন, আমি তিতুমীর কলেজে ১৭-১৮ সেশনের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। আমাকে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম, আরিফ মোল্লা, রিমু হোসেন, আহ্বায়ক সদস্য আলামিন, জহিরুল ইয়ামিন, রানা আহমেদসহ সবাই আমার ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমিসহ অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এজন্যই কী আমরা জুলাই আন্দোলন করেছিলাম?
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের নাম কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, তিতুমীর কলেজ থেকে আহত অবস্থায় এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসক তাকে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সেক্রেটারি নাসিরুদ্দিন নাসির এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক ইমাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।