গাজীপুরের টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় ‘জুলাই’ বিপ্লববিরোধী মন্তব্য এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে তার সহপাঠীরা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম রাতুল সে ওই প্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা যায়। সে গাজীপুরের তারগাছ এলাকায় পরিবার সাথে বসবাস করতো। এ ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, রাতুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জুলাই বিপ্লববিরোধী মন্তব্য এবং একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে অশালীন মন্তব্য এবং উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিল। ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে মেসেঞ্জারে তার যোগাযোগের বিষয়টি জানাজানি হলে বিকাল থেকে মাদ্রাসার শরীয়তউল্লাহ হলের ১০০৪ নম্বর রুমে রাতুলকে আটকে রাখে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
খবর পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রসংসদের নেতৃবৃন্দরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতুলকে উদ্ধার করে হোস্টেল সুপারের কক্ষে নিয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশকে অবহিত করে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান, তামিরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টাকসু) ভিপি ইকবাল কবির, জিএস সাইদুল ইসলামসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রাতুলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময়ও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা রাতুলকে মারধর করে।
টাকসুর জিএস সাইদুল ইসলাম বলেন, রাতুল মেসেঞ্জারে ‘জুলাই’ বিরোধী গ্রুপ খুলে অশালীন মন্তব্য করে আসছিল। এসব বিষয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারেনি তাই তাকে আটক করেছিল শিক্ষার্থীরা। আমরা তাকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি রাতুলকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।