লামিসা (১৩) নামে সাভারের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি সাব্বিরকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর মা মোছা. সিমা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাউন্দিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজী আব্দুর রহিম। তিনি বলেছেন, হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাকসাত্রা গ্রামে হাফিজুর রহমানের মালিকাধীন ভাড়া বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত লামিসা সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের খালপাড় এলাকার মো. রাসেলের মেয়ে। সে জাহানারা সিদ্দিকী নূরানী মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাকসাত্রা গ্রামের হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে বরিশাল জেলার বরগুনা থানার চান্দুখালি গ্রামে মো. রাজু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন- চাঁদনী (১৪), মো. কেডি রাকিব (২৫) ও আশিক (২০)।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরীর মা বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যেই আমার মেয়েকে তার বান্ধবী গত রোববার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রোববার থেকে গতকাল সকাল ১০টার মধ্যে কোনো এক সময় আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। মেয়ের বান্ধবীর সহায়তায় তার কথিত স্বামীসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অথবা ধর্ষণের কারণেই আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সবাই বয়সে কিশোর।’ .
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জানান, কয়েকজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে থাকতে পারে বা ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা যেতে পারে। ওসি আরও জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই বান্ধবীর কথিত স্বামীকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, চাঁদনীর সহায়তায় সাব্বির, রাকিব ও আশিক পালাক্রমে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। পরে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।