খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার বলেছেন, যুগে যুগে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে থাকে। জুলাই আন্দোলনও তেমনই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত এই আত্মত্যাগ আমাদেরকে বৈষম্যহীন একটি দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করতে হবে। যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে ছাত্র জনতা আত্মহুতি দিয়েছে তাদের সেই আকাঙ্খা ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না বলে কেসিসি প্রশাসক উল্লেখ করেন।
কেসিসি প্রশাসক আজ বুধবার বাদ জোহর নগর ভবন মসজিদে জুলাই শহিদদের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জুলাই শহিদ দিবস পালন উপলক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
দোয়া অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-খুলনা মহানগর শাখার আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, গণঅধিকার পরিষদ-খুলনা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মো: রাশেদুল ইসলাম, কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, খুলনা প্রেস কাবের সভাপতি এনামুল হক, দৈনিক সমকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসান হিমালয় ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সোনাডাঙ্গা থানা শাখার সভাপতি শরীফ পাঠান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেসিসি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদ এবং দোয়া পরিচালনা করেন তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ এস এম নাজমুস সউদ। দোয়া অনুষ্ঠানে কেসিসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড অফিসেও পৃথক পৃথকভাবে জুলাই শহিদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।