নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের ওপর হামলার চেষ্টা,গালিগালাজ ও সন্ত্রাসী আচরণের ঘটনায় সিরাজ খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু খানকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে সকালে তাকে গ্রেপ্তারের দাবীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে তাজু খান ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন এবং চিকিৎসক ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জহির উদ্দিনের ওপর হামলার চেষ্টা চালান তিনি। তবে সহকর্মীদের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
স্থানীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে তাজু খান চিকিৎসকদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন এবং জোর করে রোগীদের তার ব্যক্তিগত ক্লিনিকে পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। ফলে চিকিৎসকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে, অনেকে এর আগেও বদলি হয়ে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, “এখানে চিকিৎসা নয়, বরং প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে এই সংকট আরও বাড়বে।”
ঘটনার পর চিকিৎসক সমাজ, স্বাস্থ্যকর্মী ও এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত ও তাজু খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, “গতকালের ঘটনার ভিত্তিতে দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
উল্লেখ্য, তাজু খানের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কখনোই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে।