সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু সেতু থেকে রূপসা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে খুলনার নৌ পুলিশ। ঘটনার তদন্তে খানজাহান আলী সেতুর ওপর থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও দেখে পুলিশ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত রোববার সন্ধ্যায় খুলনা অঞ্চলের নৌ পুলিশ রূপসা নদীর খান জাহান আলী সেতুর নিচ থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে লাশটি খুলনার সাংবাদিক বুলুর বলে শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
নৌ পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাশ উদ্ধারের পর নিহতের ভাই খুলনার লবণচরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন, যা রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত করছে। ওই মামলার তদন্তকালে ব্রিজের উপর থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হয়। ওই ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু গত রোববার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নিজেই ব্রিজের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিচে পড়েন।
অবশ্য, গত সোমবার বুলুর মৃতদেহের সুরতহাল করার পর রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুহিদুল হক বলেছিলেন, “বুলুর মুখ থেঁতলানো, দুই হাত ভাঙা ও গায়ে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।”
নৌ পুলিশ আরও জানিয়েছে, ইতোমধ্যে নিহতের ময়নাতদন্ত করে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। অপমৃত্যু মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বুলু চ্যানেল ওয়ান, ইউএনবি, আজকের কাগজ, বঙ্গবাণী, দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় কাজ করেছেন। ৬০ বছর বয়সি বুলু সবশেষ দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি খুলনা প্রেস ক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।