তালেবান সরকারে শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী মোল্লা আবদুল মানান ওমারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন খেলাফত মজলিশের আমির মামুনুল হকের নেতৃত্বে সাতজনের একটি প্রতিনিধি দল। মোল্লা আবদুল মানান ওমারি হলেন প্রয়াত তালেবান প্রধান মোল্লা ওমরের ভাই। তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। তিনি ১৯৯৬ সালে গঠিত তালেবান সরকারের প্রধানও ছিলেন।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তান থেকে ফেসবুকে লাইভে আসেন মামুনুল হক। কাবুলে মোল্লা আবদুল মানান ওমারির সাথে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করার কথা তিনি বলেন।
‘যথাযথ কূটনৈতিক’ সম্পর্কের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মামুনুল বলেন, চিকিৎসা, শ্রম বাজার ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আমদানির-রপ্তানির জন্য আফগানিস্তান হতে পারে ‘একটি সম্ভাবনাময় দেশ’।
বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশ ‘জনশক্তি রপ্তানি করতে পারে’ বলে তিনি মত দেন। এছাড়া গাজায় হামলা থামাতে মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বের তাগিদ দিয়েছেন মামুনুল হক।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ওলামা প্রতিনিধি দলটি বর্তমানে ‘কাবুল স্টার হোটেলে’ আছেন। মামুনুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আব্দুল হামিদ (মধুপুরের পীর), আব্দুল আউয়াল, আব্দুল হক, হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মনির হোসাইন কাসেমী ও মাহবুবুর রহমান।
ফেসবুক লাইভে মামুনুল হক বলেন, “ইতোমধ্যে আপনারা বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে জানতে পেরেছেন, যে আমরা বাংলাদেশ থেকে শীর্ষ আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল, বিভিন্ন উপলক্ষে পবিত্র বায়তুল্লাহ শরীফে (মক্কা) ওমরাহ শেষে দুবাই হয়ে ইমরাতে ইসলামিয়ার রাজধানী কাবুলে আগমন করেছি।”
তিনি বলেন, “আজকে (বৃহস্পতিবার) গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমরা মিলিত হয়েছি। ইমারাতে ইসলামিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোল্লা আবদুল মানান; যার পরিচয় হয়ত ইতিমধ্যে আপনারা অনেকে শুনেছেন। ইমরাতে ইসলামিয়ার প্রথম আমিরুল মোমেনিন মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ছোট ভ্রাতা তিনি।
মন্ত্রী আবদুল মানানের সাথে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়েছে জানিয়ে মামুনুল বলেন, “দুই রাষ্ট্রের আলেম সমাজের মধ্যে যে পারস্পরিক এলমি মত বিনিময়, সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয় আলোচনা করেছি। সেই সাথে মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে কীভাবে আমাদের মধ্যে উম্মাহকেন্দ্রিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর আজকের যে সংকটগুলো তা নিয়েও আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা করেছি।”