রবিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৫
কেরানীগঞ্জে ফুটপাত ঠিকই দখলমুক্ত হয়, তবে...
মাসুম পারভেজ, কেরানীগঞ্জ
প্রকাশ: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৫২ PM

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলি ও চুনকুটিয়া এলাকার ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করার পর ১৪দিনও টিকল না। পথচারীদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে আবারও হকাররা বসে গেছেন। এতে পথচারীদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সড়কে যানজটের মাত্রাও বেড়েছে। গত ২ সপ্তাহ কদমতলি গোল চত্বর ও চুনকুটিয়া চৌরাস্তার আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। 

এর আগে গত ২২ অক্টোবর কদমতলি এলাকার ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। এরপর থেকে বাবুবাজার সেতু, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক লিঙ্ক রোড ও নবাবগঞ্জ-জিনজিরা এলাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছিল পথচারীরা। তবে অতীতের মতো এবারও উচ্ছেদের পর হকার বসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উপজেলাবাসী। 

কদমতলি চৌরাস্তা থেকে প্রতিদিনই রাজধানীর ইসলামপুর যাওয়া–আসা করেন ব্যবসায়ী ইয়াকুব হোসেন। তিনি বলেন, কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই কদমতলি এলাকা দুপাশ থেকে হকারদের উচ্ছেদের পর গোটা এলাকাতেই যেন স্বস্তি নেমে এসেছিল। তবে এবারও এই অভিযান টেকসই না হওয়াটা দুঃখজনক। অল্প কিছু লোক জোরজবরদস্তি করে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবেন আর উপজেলার লাখ লাখ পথচারী বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাবে, এটা মোটেই যুক্তিসংগত নয়। এটা অনুচিত। এ কারণে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্থবির হয়ে পড়েছে।

ঢাকা দক্ষিণের ট্রাফিক ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা শীর্ষ কর্তাদের উচিত আমাদের সহযোগিতা করা।

সরেজমিন ঘু্রে দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক সড়ক,  লায়ন শপিং মলের সামনের সড়ক, চুনকুটিয়া চৌরাস্তায় সড়কের ফুটপাত দখল করে আবার আগের মতোই হকাররা বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এর মধ্যে কদমতলি গোল চত্বর সড়কের দুপাশের ফুটপাতে হকাররা বিভিন্ন প্রকার ফল বিক্রি করছেন। এবং সন্ধ্যা হলেই মূল সড়কের ওপর বসে নতুন পুরাতন চোরাই মোবাইল মেলা। ফুটপাতে শিশুদের পোশাক বিক্রেতা রাশেদ বলেন, আগের মতো কড়াকড়ি নেই। তাই বসেছি। তবে যখন পুলিশ আসে, তখন সরে যাই। আরেক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, টেকসই নজরদারি ছাড়া কোনো উচ্ছেদই স্থায়ী হবে না। নিয়মিত টহল দরকার।

পথচারী সাদেক হোসেন বলেন, প্রশাসন অভিযান চালায়, আবার কয়েক ঘণ্টা পরই দখল হয়ে যায়। এতে জনগণের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। তিনি আরও বলেন, অভিযানের পর এলাকাটা একটু নিঃশ্বাস ফেলেছিল। কিন্তু টিকল না। অল্প কিছু মানুষ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে, আর হাজারো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে—এটা অন্যায়। পথচারী  আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এবার হয়তো সত্যিই ফুটপাত ফাঁকা থাকবে। কিন্তু এখন আবার আগের অবস্থা।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া-কদমতলি ফুটপাত ও সড়ক দখল হওয়ার কারণে তীব্র যানজট লেগেই থাকে প্রতিনিয়ত। এছাড়া জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। এজন্য কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী ও ফুটপাত দখলদারদের সচেতন করা হয়েছে। এজন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকে সিদ্ধান্তে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। এরপরও কেউ পুনরায় দখল করলে স্থাপনা বাজেয়াপ্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত