প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ নামটা উচ্চারণের সাথে সাথেই চোখের সামনে ভেসে উঠে উত্তপ্ত পিচঢালা রাজপথে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো সাহসের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতিতে আসা মাজেদ বাবুর প্রায় ১৯ বছরের পথচলা মোটেও মসৃণ ছিলো না। বিএনপির দুর্দিনে তিনি ছিলেন রাজপথের ত্যাগের প্রতিচ্ছবি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার আলোকবর্তিকা।
নেতৃত্বের স্বমহিমায় নিজেকে নিজেই ছাড়িয়ে গেছেন বারংবার। জাতীয়তাবাদী পরিবারের ছায়াতলে আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরেছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলে অসংখ্য মামলা, হামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাল হয়ে। যেকারণে একাধিকবার মাজেদ বাবু নিজেও মামলা এবং হামলার শিকার হয়েছেন। তার বাসায় ও হামলা-ভাঙচুর করেছে পতিত স্বৈরাচার বাহিনী।
সর্বশেষ ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় অর্থ যোগানদাতা হিসেবে সিটিটিসির (পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) একটি দল তাঁকে তাঁর গুলশানের বাসা থেকে তুলে আয়নাঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে আটকে রেখে তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট তিনি মুক্তি পান।
মাজেদ বাবু দলের সংকটকালে মাঠে থেকে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, সভা-সমাবেশে নেতৃত্ব দেওয়া এবং নানা ত্যাগের মাধ্যমে সংগঠনকে সক্রিয় রাখেন। এই সব গুণেই তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। উপহার হিসেবে আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ময়মনসিংহ-৮ আসনে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবুর হাতে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন তুলে দিয়েছেন।
মাজেদ বাবু শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন, তিনি একজন মানবিক মানুষ। মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে উপজেলার অনেক নিঃস্ব-অসহায় পরিবারকে নিজস্ব অর্থায়নে করে দিয়েছেন মাথা গোঁজার ঘর। অগণিত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সভা-সেমিনার এবং পুরস্কৃত করেছেন কৃতি শিক্ষার্থীদের। এছাড়া বহু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ব্যয়বহনসহ নানা মানবিক কাজের জন্য অন্যদের চেয়ে আলাদা মাজেদ বাবু।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, আমাদের নেতা মাজেদ বাবুর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে এবং ঈশ্বরগঞ্জবাসীর স্বার্থে নিজেকে রেখেছেন আপোষহীন; জীবনকে ফেলেছেন হুমকির মুখে। তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের সূর্য সৈনিকদের কাছে অনুকরণীয় ব্যাক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল মাজেদ বাবুকে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব করে এই দুষ্টু মহলটি কখনো সফল হতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।
উপজেলা ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, মাজেদ বাবুর মতো একজন শিক্ষানুরাগী, সৎ ও মানবিক মানুষকেই আমরা এমপি হিসেবে দেখতে চাই। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতো আদর্শ জীবন যাপনের কারণে আমার নেতা মাজেদ বাবু সাধারণ মানুষ থেকে দলের স্থানীয় নেতাকর্মী ও তৃণমূলের নেতাদের হৃদয়ে জায়গায় করে নিয়েছেন। তিনি থাকেন মানুষের মোনাজাতে। তার আদর্শ দেখে সবাই উদ্বেলিত হন। সংসদের মত পবিত্র জায়গায় তাকে সবাই দেখতে চান।
বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারি মাজেদ বাবু সততা, সাহসিকতা, আদর্শ রাজনীতি অঙ্গনে এক অনন্য মানুষ। সততা, ত্যাগ ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন হিসেবে বাবু সংসদে যাবেন গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে। এই প্রত্যাশা ঈশ্বরগঞ্জের আপামর জনগণের।
ময়মনসিংহ-৮ আসনে ধানের শীষ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে আমার যাত্রা শুরু হয়। মামলা, হামলা এবং আয়নাঘরে নির্যাতিত হয়েও শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হইনি। রাজনীতি করে আমার নেওয়ার কিছু নেই। আমার লক্ষ্য একটি শিক্ষিত সমাজ গড়ে ঈশ্বরগঞ্জকে আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা। আমার নেতা তারেক রহমান যে আত্মবিশ্বাসে আমাকে ময়মনসিংহ-৮ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মনোনীত করেছেন আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বরগঞ্জের মানুষ তার প্রতিফলন ঘটাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে।