টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
হামলায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ডেটা এন্টি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন সহ চারজন আহত হয়েছেন।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সোমবার সকালে হঠাৎ করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা করে। প্রতিবাদ করতে গেলে অফিসের আরো তিনজন স্টাফকেও মারধর করা হয়। এসময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়।
গোপালপুর উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান জানান, ওই ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ চারজন আহত হয়েছেন। অফিসের কিছু দালাল সুবিধা করতে পারছিল না। তাদের ইন্দনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই হামলা করে থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ভুক্তভোগীদের নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি চরম দুর্ব্যহার করেন। তবে নির্বাচন কর্মকর্তার উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগটি মিথ্যা।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার কারণে একটি মামলা দায়ের করা হবে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সরকারি অফিস ভাঙচুর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।