সুনামগঞ্জে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিধবা ও অসহায় নারীদের জন্য বরাদ্দ ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রকৃত অসহায় নারীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলায় চলতি মেয়াদে ২৩ হাজার ৬১৫ জন নারীকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অনেক ইউনিয়নে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে তালিকা প্রভাবিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ডে টাকার বিনিময়ে নাম অন্তর্ভুক্তির কথোপকথনও ধরা পড়ে।
এছাড়াও শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় থাকা অবস্থায় আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, টাকা আত্মসাৎ ও কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিক্ষক ও জেন্ডার প্রোমোটারদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ছিল ভুক্তভোগীরা।
তাহিরপুরের ভুক্তভোগী আজমল হোসেন বলেন, মহিলা বিষয়কে টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যায় না।
জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য জানান, অনেকে টাকায় নাম বিক্রি করেছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের লোকদের নাম যুক্ত হয়েছে।অন্যদিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ জে এম রেজাউল আলম স্বীকার করেন, বিভিন্ন উপজেলায় ভিডব্লিউবি বরাদ্দে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সঞ্চয়ের টাকা ফেরত না দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দরিদ্র নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে সরকারি এ কর্মসূচি জেলাজুড়ে নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা বিষয়ক কর্মকতা আফজাল হোসেন ক্রুদ্ধ ভাষায় বলেন, আপনার যা ইচ্ছা তা করেন, পারলে কোনো কিছু করে দেখান।