কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত ঢাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী৷ শহরের প্রবেশপথসহ ভেতরে চলছে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি৷ অপরদিকে লকডাউন ঠেকাতে শক্ত অবস্থানে ছিল জেলা ছাত্রশিবির৷
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বরের) কক্সবাজার জেলার ২৮টি পয়েন্টে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
শহরের পর্যটন এলাকা কলাতলী- ডলফিনমোড় সড়কের বাসটার্মিনালমুখী সড়কে সকাল থেকেই যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করতে দেখা যায়। প্রাইভেটকারসহ সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়িতে থাকা যাত্রীদের ব্যাগ ও মোবাইলফোন খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। যাত্রীদের গন্তব্য ও আগমনের স্থান বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এ কর্মসূচি ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে এই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের একপাশে দাড়িয়ে তল্লাশি চলায় যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি দেখা দেয়। পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে যাত্রীদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করতে ও দেখা গেছে।
পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস জানান, পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার শহরসহ জেলার সব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট, টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের চলাচল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক প্রচারও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
চেকপোস্টে উপস্থিত কক্সবাজার জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জন রোবায়েত বলেন, ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।
চেকপোস্টে যাত্রীদের মোবাইল তল্লাশির পাশাপাশি গ্যালারি কেন ঘেঁটে দেখা হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, দেখেন অনেকেই আত্মগোপনে থাকে। আবার অনেকে নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়।