রোববার দুপুরে রামগতি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শতশত ইট ভাটার শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
এর আগে সকাল থেকে রামগতি উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিকরা এসে উপজেলা পরিষদের ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকে। একপর্যায়ে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোপের মুখে পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে। তারা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে লক্ষ্মীপুর টু রামগতি সড়ক দীর্ঘক্ষণ যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ জনগণকে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধ ইট ভাটার শ্রমিকরা জানান, নদীমাতৃক এলাকা রামগতি। এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদ নদীর গর্ভে তলিয়ে গেছে। একসময় অঞ্চলের মানুষ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা-নির্বাহ করতো। ধীরে-ধীরে রামগতিতে উড়ে উঠেছে প্রায় ৪০টি ইট ভাটা। বর্তমানে হাজার-হাজার শ্রমিক এ ইট ভাটা গুলোতে কাজ করে সংসার চালাই। সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে অনেক গুলো ইট ভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে। শ্রমিকদের দাবি তুলছে ইট ভাটা ধ্বংস করার পূর্বে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। নয়তো-বা ইট ভাটা চালু করতে হবে। বিশ্বের কোন রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের আন্দোলন সংগ্রাম দমন-পীড়ন করতে পারেনি। আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম ও যৌক্তিক দাবি।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন ঢাকা মেইলকে জানান, শ্রমিকরা ইট ভাটা চালু করার জন্য বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছে। তারা উপজেলার ভিতরে জড়ো হলে তাদের বের করে দেওয়া হয়। মানববন্ধনের কারণে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করে চলে গেছে।
বক্তব্যে জানতে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমজাদ হোসেনের অফিসে গিয়ে ওনাকে পাওয়া যায়নি। তিনি জেলা প্রশাসক অফিসে গেছেন। তবে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।