মেহেরপুরের গাংনীর হাড়াভাঙ্গা এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আজ রোববার সকাল থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর আগে এক ছাত্রীর সাথে অশ্লীল ভিডিও কেলেঙ্কারির দায়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সাথে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির এক ছাত্রির সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। দুজনই ভিডিও কলে অশ্লীল কথোপকথন ও অঙ্গভঙ্গির দৃশ্য ধারন করে। শনিবার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধান শিক্ষক আত্মগোপন করেন। উত্তাল হয়ে উঠে বিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এক পর্যায়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
প্রধান শিক্ষকের এ সাময়িক বহিষ্কারাদেশ মেনে নিতে পারেনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন। তারা স্থায়ি বহিষ্কারের দাবী তুলে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। তারা বলেন, “একজন শিক্ষক যদি এভাবে শিক্ষার্থীর সাথে অশ্লীলতায় জড়ান, তাহলে আমরা কীভাবে নিরাপদে স্কুলে পড়াশোনা করব?” এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডে তারাও বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। এ ধরনের অনৈতিক ঘটনার বিচার হওয়া জরুরি, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরে আসে এবং অন্যরা ভবিষ্যতে এমন নিন্দনীয় কাজে জড়ানোর সাহস না পায়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোকলেসুর রহমান জানান, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই প্রধান শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলমান। দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম জানান, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সভাপতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত শেষে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।