নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে খেলনা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এই সিদ্ধান্ত নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
অকারণে শ্রমিক ছাঁটাই, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং কর্মস্থলে অসৌজন্যমূলক আচরণ, টিফিন ভাতা প্রদান, পিসি কমিটি গঠনসহ নয় দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে গত ১৬ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করে সনিক বাংলাদেশের লিমিটেডের শ্রমিকরা। এদিকে আন্দোলনের কারনে বাধ্য হয়ে সনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক মি. সু ইয়ংবাও পোলো স্বাক্ষরিত ফ্যাক্টরীর প্যাডে ফ্যাক্টরী বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে সকালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক মোহাইমিনুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, শিমু আক্তার, নাছরিন বেগম, নুর জাহান প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ ২৬ দফা যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেও কারখানার কয়েকজন বাঙালি ঊর্ধতন কর্মকর্তা এসব দাবি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছেন। কোনো কারণ ছাড়াই শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। অসুস্থতার জন্য ছুটি দেওয়া হয় না এবং ওভারটাইম করেও তাদের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না এমন অভিযোগও তুলে ধরেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। পরে শ্রমিকনেতাদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। শেষে নয় দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়ে শ্রমিকরা ডিসি অফিস প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, একই দাবিতে গত তিন দিন ধরে কারখানা গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের শ্রমিকরা।