ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। যতদিন আলেম-ওলামারা রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত না হবে ততদিন দেশে শান্তি-সুখ আসতে পারে না।শুক্রবার চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল দস্তারবন্দি সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই দোষ আছে। আমরা নিজের দোষ নিজে দেখি না, পরের দোষ খুঁজে বেড়াই। আমি যদি কাউকে সম্মান করি তাহলে আমিও তার কাছ থেকে সম্মান পাব। আর আমি যদি কাউকে বেইজ্জতি করি, তাহলে আল্লাহ আমাকে বেইজ্জত করে দেবেন।
তিনি গণঅভ্যুত্থানে পলাতক শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণকে এদেশে একসময় যাদের অর্ডারে মানুষের ফাঁসি হয়েছে, আজ অন্যদের অর্ডারে তাদের ফাঁসি হতে যাচ্ছে। এ কারণে সবসময় আল্লাহকে স্মরণে রাখতে হবে, তাকে নারাজ করা যাবে না।
মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমীর সভাপতিত্বে হেফাজতে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, মওদুদীর গোষ্ঠীরা ইসলামের দুশমন। যখন ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে, আমার সাহাবীদেরকে গালিগালাজ করবে তখন আলেমরা তার ইলেমকে প্রকাশ করতে হবে।
অতএব যে আলেম তার এলেমকে প্রকাশ করবে না তার উপর আল্লাহর লানত পড়বে। মওদুদীরা লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে ঈমান হারা করতে চায় তাই আলেম ওলামাদের সচেতন থাকতে হবে। দুদিনব্যাপী এ বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে গত ১৪৪৫-৪৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষে দাওরায়ে হাদিস উত্তীর্ণ প্রায় তিন হাজার আলেমকে সম্মানসূচক পাগড়ি পরানো হয়।