বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেয়ায় গ্রামপুলিশকে মারধর বিএনপি নেতাদের
টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:২৫ PM

টুঙ্গিপাড়ায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই গ্রামপুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাতে বিএনপি নেতাকে প্রধান করে যুবদল নেতাসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাতজনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলাটি করেন এসআই মোসলেম আলী। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের জোয়ারিয়া গ্রামে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানান টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর।

আসামিরা হলেন- টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈ, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন বাইন, জোয়ারিয়া গ্রামের হৃদয় তালুকদার ভোলা এবং অয়ন বাইন।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতা জীবেশ বাড়ৈকে কারণ দর্শানার নোটিশ ‍দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুলের সই করা চিঠিতে জীবেশ বাড়ৈর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। চিঠিতে তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এসআই মোসলেম আলী বলেন, “ঘটনার দিন বিকালে পাটগাতী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ কৃপা মণ্ডল এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ সুরজিত ঘরামী বিশেষ কাজে গোপালপুর যান। ফেরার পথে তারা জোয়ারিয়া এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনা দেখে বিষয়টি টুঙ্গিপাড়া থানায় জানান।

“তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ বিজন বিশ্বাসকে ১৪টি ইয়াবাসহ আটক করে। এ সময় ঘটনাস্থলে থেকে অন্য তিন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যান। পরে বিজনকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা জীবেশ বাড়ৈর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন ওই দুই গ্রামপুলিশকে ঘিরে ধরেন। পুলিশকে মাদকের খবর দিয়ে বিজনকে কেন গ্রেপ্তার করালি বলে, তাদের বকাঝকা ও গাছের ডাল দিয়ে পেটানো হয়। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।”

আহত গ্রামপুলিশ কৃপা ও সুরজিত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আটক বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই মোসলেম আলী। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন গ্রামপুলিশ সদস্য কৃপা ও সুরজিত।

গ্রাম পুলিশদের পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে জীবেশ বাড়ৈ বলেন, “গ্রামপুলিশ দুজন পাটগাতী থেকে এসে ডিবি পরিচয়ে বিজন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরিচয় জানার পর আমার লোকজন তাদের বকা দিয়েছে, পেটানো হয়নি।”







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৮৪১০১১৯৪৭, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত