সালাত বা নামাজ মুসলমানের ওপর ফরজ ইবাদত। সালাত পড়লে ঈমান বাড়ে। আমলে সৌরভ আসে। ভেতর থেকে অশ্লীলতা দূর হয়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
সালাতের আভিধানিক অর্থ দোয়া, রহমত, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ ‘শরিয়ত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে সালাত বলা হয়, যা তাকবিরে তাহরিমা দ্বারা শুরু হয় ও সালাম দ্বারা শেষ হয়।
ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে এর মধ্যে সালাত দ্বিতীয়। মূল স্তম্ভ বা বুনিয়াদ ছাড়া তার ভিত্তি কল্পনা করা যায় না। তেমনিভাবে নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ঈমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে গুরুত্ব অন্য কোনো ইবাদতে প্রদান করা হয়নি। কোরআন শরিফে ৮৩ বার নামাজের আলোচনা এসেছে। নামাজ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী! আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুমিন তাদের বলুন, নামাজ কায়েম করতে।’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৩১)
আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানের উচিত, নামাজের প্রস্তুতি নেয়া। গুরুত্বের সঙ্গে অজু করা। পরিস্কার পোশাক পরিধান করা। বান্দা যখন নামাজে তাকবির বলে ফেলে, সে তখন একবারে আল্লাহর কাছে চলে যায়। তাই তার উচিত, আল্লাহতে পূর্ণ নিমজ্জিত থাকা। অন্যমনস্ক না হওয়া। কিন্তু শয়তান মানুষকে নানাভাবে ধোঁকা দেয়। অন্যমনস্ক তৈরি করে। অনেকে নামাজে দাঁড়িয়ে আঙুল ফোটায়।
নামাজে দাঁড়িয়ে আঙুল ফোটানো বা এমন অসৌজন্যমূলক কর্মকাণ্ড করা মাকরুহ তাহরিমি। এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তাবেয়ি হজরত ইবরাহিম নাখায়ি এবং মুজাহিদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে নামাজে আঙুল ফোটানো মাকরুহ মনে করতেন। উল্লেখ্য, নামাজে আঙুল ফোটালে নামাজ হয়ে যাবে কিন্তু নামাজের অবমাননা করার কারণে শক্ত গুনাহ হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১০৬, রদ্দুল মুহতার : ১/৬৪২)
-বাবু/এ.এস