ভাষার প্রতি বাঙালি জাতির আত্মত্যাগ বিস্মিত করে ভিনদেশি ফুটবলারদের। আর তাই ভিন্ন সংস্কৃতির হলেও বাংলার প্রতি তাদের সীমাহীন শ্রদ্ধা। অনেকেই চেষ্টা করেন বাংলায় কথা বলতে। শুধু তা-ই নয়, নিজ সন্তানদেরও দিচ্ছেন বাংলা শিক্ষা।
প্রাণের ভাষা বাংলা। যারাই এ ভাষার কাছাকাছি এসেছেন, তারাই মজেছেন এর মাধুর্যে। এই ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের ইতিহাস তাদের শ্রদ্ধায় অবনত করে। ঢাকা আবাহনীর কোস্টারিকান স্ট্রাইকার দানিয়েল কলিন্দ্রেস তাদেরই একজন।
পেশাদার ফুটবলার হওয়ার সুবাদে প্রায় বছর পাঁচেক তার লাল-সবুজের মাটিতে অবস্থান। এই দেশের মাটি, পানি, বাতাস সবকিছুর সঙ্গেই দানিয়েলের বেজায় সখ্য। আর ভালোবাসাটা জন্ম নিয়েছে ভাষার প্রতি। বাংলাদেশ ও আবাহনীকে ভালোবাসেন জানিয়ে কলিন্দ্রেস বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন। রক্ত দিয়েছেন।’
বাংলা ভাষা কিংবা বাংলাদেশ–এই দুটো বিষয়ে এলিটা কিংসলের গল্পটা একেবারেই ভিন্ন। এই দেশের প্রেমে পড়েই দেশান্তরী হয়েছেন তিনি। নাইজেরিয়ান ট্যাগ খুলে তিনি এখন পুরোদস্তুর বাঙালি। তার সন্তানরাও বেড়ে উঠছে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে।
কিংসলে বলেন, ‘আমি কিছু কিছু বাংলা জানি। এটা অনেক বড় আত্মত্যাগ–যারা মাতৃভাষা বাংলার জন্য নিজেদের জীবন দিয়েছেন।’একুশ শুধু চেতনা নয়, একুশ মানে ত্যাগ, একুশ মানে ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসাই ঘুচিয়ে দিয়েছে ভিনদেশিদের সব দূরত্ব।
বাবু/এ আর