আগ্রাসী ব্র্যান্ড ক্রিকেটে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটোই হতে পারে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিবও বলেছেন সে কথা, ‘এরকম (আগ্রাসী ক্রিকেট) খেলতে গেলে এমনটা হতেই পারে। আমরা আমাদের অ্যাপ্রোচ বদলাতে চাই না। বড় দল হতে গেলে আমাদের এভাবেই খেলতে হবে। কিছুদিন এমন যাবে, যেখানে আমরা ভালো করব না। কিন্তু আমরা আমাদের ক্রিকেট খেলতে চাই।’
আগ্রাসী শুরু করতে গিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে লিটনের ফেরা কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়দের মানসিকতায়ও ফুটে উঠেছে সেটা। খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তাটাও ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট। সিরিজসেরার পুরস্কার পাওয়া তাসকিন যেমন বলছিলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট আমাদের বলেছে ভয়ডরহীন থাকি, এটা আমাদের আগামীতে বড় দল হতে সাহায্য করবে। সবার ব্যক্তিগত মাইন্ডসেট ছিল ইতিবাচক থাকব। প্রথম বল থেকে নিজের জোনে পেলে মারব। হয়তো ব্যাটাররা যারা ভুল শটে আউট হয়েছে, ওটা ব্যাটের ভালো জায়গায় লাগলে ছয় হয়ে যেত। এটা হতেই পারে।’
সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হওয়ায় টি-টোয়েন্টিতে আগ্রাসী ক্রিকেটের বিকল্প নেই। সেটা এখন ঠিকই বুঝতে পারছে বাংলাদেশ। তাসকিন বলেছেন, ‘আমরা যদি আগামীতে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে চাই, আমাদের এ ইনট্যান্টটা থাকতে হবে। বোলার, ব্যাটার সবারই আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। কিছু কিছু দিন হয়তো এরকম ইনট্যান্ট দেখাতে গিয়ে ধস নামবে। এটাও আমরা মেনে নিয়ে এগোব।’ শুধু আয়ারল্যান্ড বলেই নয়, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হলেও আগ্রাসী ক্রিকেটের বিকল্প দেখছেন না ডানহাতি এ পেসার, ‘সামনে যেমন বড় দলগুলোর সঙ্গে ভালো উইকেটে খেলা হবে। প্রতিপক্ষ তখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও থাকবে। আমাদের কিন্তু রান করতেই হবে। এই ইনট্যান্ট আমাদের সাহায্য করবে।’
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |