বলতে গেলে এই ম্যাচটাই নাকি প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার ‘নির্ণায়ক’। ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের কোচেরাও এই ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার নিখুঁত ছকও কষেন এই দুই কোচ। আর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ে যারা জয় পাবে, তারাই মূলত শিরোপায় এক হাত দিয়ে রাখবে; এটা তো অনেকাংশেই নিশ্চিত।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঘরের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ৪-১ গোল ব্যবধানে জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। আর এই ম্যাচে জোড়া গোল করে দলের জয়ের নায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা। এ ছাড়া জন স্টোন্স ও আর্লিং হলান্ড একটি করে গোল করেছেন।
এদিন ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গ্যালারি ভর্তি সমর্থকদের ম্যাচের শুরুতেই গোল উৎসবে মাতায় সিটি। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল থেকে হলান্ডের ছোট পাসে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডি ব্রুইনা।
শুরুতেই গোল হজম করে চাপ সামলে তেমন একটা পাল্টা আক্রমণেই উঠতে পারছিল না আর্সেনাল শিবির। তবে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে কেবল হতাশাই বাড়ান থমাস পার্টি।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ডি ব্রুইনার ফ্রি কিকে দারুণ কোনাকুনি হেডে লিড বাড়ান জন স্টোন্স। তবে রেফারি শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও ভিএআরে সিদ্ধান্ত পাল্টায়। এর ফলে ২-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় হলান্ডরা।
বিরতি থেকে ফিরে আরও বিবর্ণ হয়ে পড়ে আর্সেনাল। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটেই তৃতীয় গোল হজম করে দলটি। নরওয়ের ফরোয়ার্ড হলান্ডের পাস থেকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ৩১ বছর বয়সী বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
তবে ম্যাচের শেষ দিকে অনেকটা গা ছাড়া ভাব দেখায় সিটি। এর ফলে গোলও হজম করে বসে দলটি। সুযোগ পেয়ে আর্সেনালের হয়ে ব্যবধান কমান হোল্ডিং। অন্যদিকে ততক্ষণে সিটির জয় অনেকটা নিশ্চিত। আর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে লিড বাড়ান হলান্ড। যেটা তার এই মৌসুমে লিগের ৩৩তম গোল, সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৯তম গোল। যদিও এদিন গোল করার চেয়ে করানোর দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার।
এদিকে এই হারের পরও লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই থাকলো আর্সেনাল, ৩৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৫। এই জয়ে আর্সেনালের ঠিক পরেই আছে সিটি। আর্সেনালের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে পেপ গার্দিওলার দল। আর তাই এই জয়ে সিটি লিগের ট্রফিতে এক হাত দিয়ে রাখলো, এটা বলাই যায়।
বাবু/এ আর