দুনিয়া ও পরকালের কল্যানে মানুষ আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আর প্রত্যেক ইবাদত-বন্দেগির পর তাঁর আলীশান দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। কারণ আল্লাহ তাআলার শান ও মান অনুযায়ী ইবাদত করার শক্তি ও সামর্থ্য আমাদের নেই।
আবার ইবাদতের যে হক আদায় করা আমাদের কর্তব্য তা পালনেও আমাদের গাফলতি অপরিসীম। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে আমরা যেভাবে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় কথা, কাজ ও ইবাদত-বন্দেগিতে ভুল-ত্রুটি করি, সে জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
আল্লাহ তাআলার নিকট দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের সফলতা লাভে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি। ক্ষমা লাভের উপায় বর্ণনা করতে গিয়ে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়তে বলেছেন-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। (বুখারি ও মিশকাত)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া কোনো প্রভু নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি সাধ্যমত তোমার কাছে দেয়া ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতিগুলো পালনে সচেষ্ট আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমাকে যে নিআ’মত দান করেছ; তা স্বীকার করছি এবং আমি আমার পাপগুলো স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া কেউ ক্ষমাকারী নেই।’
*ফজিলত
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে এ দোয়া পাঠ করবে যদি সে ওই রাতে মারা যায় তবে সে অবশ্যই জান্নাতি হবে। আর যে ব্যক্তি দিনে এ দোয়াটি পড়বে এবং ওই দিনেই তার মৃত্যু হয় তবে সে জান্নাতি। (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার কল্যাণ ও পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতায় ক্ষমা লাভে উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
-বাবু/এ.এস