নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নড়াইল শহরের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর এ ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু। এসময় তিনি জানান ব্যক্তিগত ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বলেন, দীর্ঘ একমাস নির্বাচনের মাঠের পরিবর্তে আদালতের বারান্দা দিয়ে ঘুরেছি। নির্বাচনী প্রচারণার আর মাত্র তিন দিন হাতে আছে। এই সময়ের মধ্যে ভোটের কাজ করা সম্ভব না। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমাকে ডাক্তার বিশ্রাম ও টেনশনমুক্ত থাকার কথা বলেছেন। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা ও শুভাকাক্সক্ষীরা আমার ভবিষ্যৎ রাজনীতি, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে অবসর নেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের সমর্থন না থাকায় আমি সজ্ঞানে আজ থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম। আমার শুভাকাক্সক্ষীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আমি নৌকার মাঝি সকলের প্রিয় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে দেশ ও দশের খেদমত করার সুযোগ করে দেবেন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে প্রাার্থিতা অবৈধ ঘোষণার পর তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে মাঠে ছিলেন।
নড়াইল-২ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা (নৌকা) প্রতীক, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ী) প্রতীক, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল) প্রতীক, ইসলামী ঐক্যজোটের মো.মাহাবুবুর রহমান (মিনার) প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) জেলা সভাপতি মো.মনিরুল ইসলাম (আম) প্রতীক, গণফ্রন্টের মোঃ লতিফুর রহমান (মাছ) প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. নূর ইসলাম (ঈগল) প্রতীক নিয়ে।
নড়াইল জেলা নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে দুটি পৌরসভা ও ২০ টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩,৬৫,৭২৯ জন। এর মধ্যে ১,৮১,৯৯০ পুরুষ ভোটার ও ১,৮৩,৭৩৬ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন।