দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ আসনে প্রচার প্রচারণার শেষে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।
বিষয়টি স্থানীয় ভোটারদের কাছে থেকে জানা যায়। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ বেশিরভাগই কাঁচি মার্কা র পক্ষে কাজ করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম জানান কিন্তু সাধারণ জনগণ সবই বুঝেন। আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ আমি সাধারণ জনগণের সাথে ছিলাম আছি এবং থাকবো। সব সময় উন্নয়নের পক্ষে কাজ করেছি।
নীলফামারী- ৪ (সৈয়দপুর - কিশোরগঞ্জ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। চায়ের আড্ডাগুলোতে চলছে ভোটের আলোচনা। প্রার্থীদের গুণ বিচারে হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে নীলফামারী-৪ আসন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় চার লাখ ২৬ হাজারের মতো। এর মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও পাঁচ ইউনিয়ন মিলে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ১৬ হাজারের কাছাকাছি। অবশিষ্ট ভোটার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নে। বিশেষ করে সৈয়দপুর উপজেলার অর্ধেক ভোটার বলতে গেলে পৌরসভায় বসবাস। ভাষা সংখ্যালঘু (উর্দুভাষী) ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যতয় ঘটবে না বলে স্থানীয় ভোট বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এবারের নির্বাচনে দেশে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি সেক্ষেত্রে তারা ভোটের প্রচার প্রচারণার শুরু থেকেই সদ্য সাবেক জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শিল্পপতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকের পক্ষেই তাদের দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখছেন, এর ফলে ভাষা সংখ্যালঘু ভোটারদের মাঝে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা-কল্পনা। ভাষা সংখ্যালঘু ভোটাররা সিদ্দিকের প্রতি ব্যক্ত করা সমর্থনে নিজেদের মধ্যে বেশ গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভাষা সংখ্যালঘু ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান। জাতীয় পার্টির নেতা হিসাবে কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছি। যদিও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আহসান আদেলুর রহমান এই আসনে এবারেও প্রার্থী হয়েছেন।
তারপরেও স্থানীয় উন্নয়নে তার কোন ভূমিকা না থাকায় এবং সৈয়দপুরের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করায় ভাষা সংখ্যালঘু ভোটাররা মনের দিক থেকে তাকে মেনে নিতে পারছেন না। তাছাড়াও জাতীয় পার্টির এ প্রার্থীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। সৈয়দপুরের সঙ্গে নেই তার নাড়ীর টান কিংবা সাংস্কৃতিক সম্পর্ক। আর কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিক হলেন সৈয়দপুরের আদি বাসিন্দা। ব্যবসা ও কালচারগত দিক থেকে সৈয়দপুর শহরে বসবাসরত ভাষা সংখ্যালঘু পরিবারদের সাথে জন্মগতভাবেই তার রয়েছে হৃদয়ের সম্পর্ক। এছাড়াও জাপার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় আদর্শিকভাবেও ভাষা সংখ্যালঘু ভোটারের সঙ্গে হয়েছিল মিল। সবমিলেই তারা সিদ্দিককেই আপন মানুষ হিসাবে শেষ পযন্ত তাকে বেছে নিতে মানুসিক প্রস্তুতির দিকে এগুচ্ছি।