পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজ ও তার কনিষ্ঠ ভাই জেলা আ’লীগ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান এবং অপর ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদসহ তাদের অনুসারী আ’লীগের প্রায় প্রায় ৪’শ নেতা কর্মীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আ’লীগের ৮৯ ও অজ্ঞাতনামা দুই/তিনশ জনকে আসামী করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন ডলার বাদী হয়ে পৌর শহরের বালুর মাঠ সংলগ্ন উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই মামলায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাতসহ ও আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের সাবেক সভাপতি সাধারণসহ পৌরসভা ও উপজেলার ১১ ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা কর্মীদের এ মামলায় আসামী করলেও বিভক্ত আ’লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীদের রহস্য জনক কারণে কাউকেই এ মামলায় আসামী করা হয়নি।
মামলা সূত্রে জানাগেছে-গত ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের বড় ভাই শামীম শাহনেয়াজ স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হন। এর পর ১৯ জানুয়ারী-২০২৪ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান ও তার মেজ ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ও বড় ভাই এমপি শামীম শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে প্রায় ৪’শ লোক ওই দিন দুপুরে পৌর শহরের বালুর মাঠে অবস্থিত উপজেলা ও পৌর বিএনপি অফিস ভাংচুর করে ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করে। শেষে দলীয় কার্যালয়টি অগ্নি সংযোগ করে বিশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি শামীম শাহনেওয়াজ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ মামলায় আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে আমাদের হয়রানী করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
মঠবাড়িয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রাজিব মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।