মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
নোয়াখালীতে ৩ জন ছাড়া জামানত হারিয়েছেন সবাই
চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:০৫ PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬ টি সংসদীয় আসনে ৩ জন ছাড়া হেরে যাওয়া বাকি ২৩ জন প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন। নোয়াখালীর ৬ টি আসন থেকে মোট ৩২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে হেরে যাওয়া ২৬ প্রার্থীর ২৩ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি আসন রয়েছে, যেখানে জয়ী প্রার্থী ছাড়া অন্য সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

জামানত বাজেয়াপ্ত না হাওয়া ৩ জন প্রার্থী হচ্ছেন, নোয়াখালী-২ আসনে লড়াই করেও শেষ মুহুর্তে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক ।

নোয়াখালী-৩ আসনে লড়াই করে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ ও নোয়াখালী-৪ আসনের স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শিহাব উদ্দিন শাহিন। ফলাফল বিশ্লেষণ করে থেকে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৩২ জন। এদের মধ্যে নোয়াখালী-১ আসনে ৭ জন, নোয়াখালী-২ আসনে ৭ জন, নোয়াখালী-৩ আসনে ৬ জন, নোয়াখালী-৪ আসনে ৪ জন, নোয়াখালী-৫ আসনে ৫ জন এবং নোয়াখালী-৬ আসনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন দলীয় প্রতীকে ২৯ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ৩ জন।

নোয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। এর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৬ জন। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৮৯ হাজার ৩ শত ২৫ জন। নির্বাচনে ১২৯ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ৭১ হাজার ২ শত ১০টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২ শত ৯১ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এইচএম ইব্রাহিম। জামানত হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকত ফেডারেশনের একেএম সেলিম ভূইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মমিনুল ইসলাম, জাসদের হারুন অর রশিদ ও গণফ্রন্টের মো. খোরশেদ আলম।

নোয়াখালী-২ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। এর মধ্যে জামানত হরিয়েছেন ৫ জন। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৬০ হাজার ৪৬৪ জন। নির্বাচনে ১১৮ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৭ শত ৩টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ১ শত ৮৬ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান, কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার আলম, জাসদের নইমুল আহসান, বিএনএফের মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন।

নোয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এর মধ্যে জামানত হরিয়েছেন ৪ জন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭ জন। নির্বাচনে ১৪৯ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ৯ হাজার ৪ শত ৬৭টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৪ শত ৩৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মো. মামুনুর রশীদ কিরন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮ শত ৮৫ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাম্যবাদী দলের মহি উদ্দিন, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ, জাসদের জয়নাল আবেদীন ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া।

নোয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন, জামানত হরিয়েছেন ২ জন। এ আসনে মোট ভোটার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৭ শত ৯৯ জন। নির্বাচনে ১৯৬ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২ শত ২২টি। এর মধ্যে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭ শত ৬৪ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শিহাব উদ্দিন শাহিন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫ শত ৭৩ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবদুল আলীম ও জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ।

নোয়াখালী-৫ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। এরমধ্যে জামানত হরিয়েছেন ৪ জন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪ হাজার ৯ শত ৭৭ জন। নির্বাচনে ১৩২ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭ শত ৪০টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ২ শত ৮১ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ, জাসদের মোহাম্মদ মকছুদের রহমান, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা।

নোয়াখালী-৬ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। এর মধ্যে জামানত হরিয়েছেন ২ জন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৫ হাজার ১ শত ৩২ জন। নির্বাচনে ৯৬ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৩ শত ৮৬টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭ শত ১৫ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মুশফিকুর রহমান ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের আটভাগের এক ভাগ পেতে হয়।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত