ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হারুন অর রশিদ নামের এক হোমিও চিকিৎসককে দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা রুব্লর মিয়া(৩৮) নামে হন্তারককে হাতেনাতে ধরে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাগলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে। নিহত হারুন অর রশিদ ঐ ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। ঘাতক রুবেল একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এসময় ঘাতক রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। দূর থেকে অনেকেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও এসময় ভয়ে কেউ হারুন অর রশিদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
পরে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এসময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে পিটুনি দেয় । খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাগলা থানা পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
এসময় পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাসার, এসআই শেখ রফিকুল ইসলাম, এসআই মদন চন্দ্র সিং, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম আহত হন। পরে পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বাসেত মিয়া জানান, রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। তারা উভয়েই প্রতিবেশী, তাদের মধ্যে কোনো বিরোধের ঘটনা জানা নাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ঢালী বলেন, প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রুবেলের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। এসময় উত্তেজিত জনতার গণপটিুনিতে আহত হয়েছে রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তার।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, মারা যাওয়ার সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত চলছে।