লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁতে এক তরুণ উদ্যোক্তার মৎস্য খামারে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী খামার মালিক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের শাহজাহানের ছেলে শাহাদাত হোসেন সোহান, মো. শাকিল খাঁন, নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. শাহজাহান।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন সোহানকে আটক করে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ভূক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বিবাদীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদরের বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে হোগল ডহরী গ্রামে দেড় একর জলাশয় ইজাড়া নিয়ে অর্গানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেন তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম। কিন্তু পূর্ব শক্রতার জেরে পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা তাদের সেপটিক ট্যাংকের ময়লা সাইফুলের মৎস্য খামারে ফেলে দেয়। এতে পানি দূষিত হয়ে খামারের মাছগুলো মরে গেছে।
অভিযুক্তদের সাথে ওই খামার মালিক সাইফুলের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন।
সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় একর জমি ইজাড়া নিয়ে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছেন। রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম ভাবে অর্গানিক পদ্ধতিতে তিনি মাছের চাষ করেছেন। খামারে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। বিবাদীদের সেপটিক ট্যাংকের ময়লার বিষক্রিয়ায় খামারের মাছগুলো মরে গেছে। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত উল্যাহ, রিয়াজ উদ্দীন মানিক, ইসমাইল, নুর আলী ও আবু তাহের জানান, সাইফুলের খামারের মাছ আগে কখনো মরতে দেখি নি। কিন্তু শৌচাগারের ময়লা ফেলায় মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল উদ্দীন বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিবাদী শাহাদাত হোসেন সোহানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।