বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন,“আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন পেশাদারিত্বের দিক থেকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে অবস্থান করছে৷ যুগের চাহিদা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করে যাচ্ছি।” পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলার বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয় উল্লেখ করে আইজিপি আরো বলেন,“২ লক্ষ ১৩ হাজার সদস্যের বিশাল পুলিশ বাহিনীকে বিধি বিধান মেনে সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালিত করা হচ্ছে৷ যদি কোথাও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে তাহলে সেসব বিষয়কে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ শৃঙ্খলার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেয়া হয় না।”
আইজিপি রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী দক্ষিণ পাড়ে নব নির্মিত ডাঙ্গার চর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী দক্ষিণ পাড়ে নব নির্মিত ডাঙ্গার চর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন -বাংলাদেশ বুলেটিন
এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক থানার জন্য জমি বরাদ্দ হওয়ার পরও বহু বছর যাবৎ সেখানে স্থানী ভবন নির্মান না হওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধির করা প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন,“আমরা যে সকল পুরাতন কিংবা নতুন ইউনিটে ভবন প্রয়োজন সেসব স্থানে স্থায়ী ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়মিত নিচ্ছি। এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আমরা সার্বক্ষণিক সমন্বয় করে কাজ করছি। যেখানে জমি নেই সেখানে জমির সংস্থান করা হচ্ছে৷ আর যেখানে জমি বরাদ্দ হয়ে আছে আশাকরছি সেখানেও দ্রুত স্থানী ভবন নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ণফুলী থানাধীন ডাঙ্গার চরে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বীতল এই নৌ তদন্ত কেন্দ্রের জন্য ২ জন এসআই, ২ জন এএসআই ও ৩০ জন কনস্টেবল সহ ৩৮ জন জনবল মঞ্জুর করা হয়েছে৷ ডাঙ্গার চর নৌ তদন্ত কেন্দ্রটি চালুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যাপক গতিশীলতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এএসএম মাহাতাব উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।