নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মশা তাড়ানোর আগুনের ধোঁয়া থেকে গোয়ালঘরে লাগা আগুনে এক কৃষকের চারটি গরু পুড়ে মারা গেছে। এ সময় আরও চারটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয় পাশাপাশি ৩ টি গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ) রাতে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের কৃষক মো.মাজু মিয়ার গোয়াল ঘরে এ ঘটনা ঘটে।মাজু মিয়া রাঘবপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
কৃষক মাজু মিয়া জানান, মশার উপদ্রব থেকে গরুকে রক্ষা করার জন্য প্রতিদিন গোয়ালঘরে আগুনের ধোঁয়া দেওয়া হয়। আমার ধারনা সেই ধোঁয়া থেকে আগুনের সূত্রপাত। তিনি আরো জানান, গোয়ালঘরে আটটি গরু ছিল। যখন গোয়ালঘরে আগুন লাগে, আমি সেমূহুর্তে গ্রামের পাশে বিষ্ণুপুর নয়া বাজারে ছিলাম। তখন রাত সাড়ে আটটা সাড়ে আটটা হবে। তখন স্থানীয় এলাকাবাসীর চিৎকারে তড়িঘড়ি এসে দেখি আমার গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। পরে অনেক চেষ্টা করে গ্রামবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কিন্তু এরই মধ্যে গোয়ালে থাকা আটটি গরুর মধ্যে চারটি গরু পুড়ে দগ্ধ হয়ে তাৎক্ষণিকই মারা যায়। আর বাকী চারটি গরু পুড়ে মারাত্মক ভাবে দগ্ধ হয়ে যায় পাশাপাশি আমার গোয়ালঘরের লাগা অন্য দুটি গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তবে সেসব গোয়ালঘরে থাকা গরু বের করতে সক্ষম হয় তাই অন্য গোয়ালঘরের কোন গরুর ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই। গরুসহ গোয়ালঘর আগুনে পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম বাবুল মাজু মিয়ার গোয়াল ঘরে আগুনে পুড়ে চার গরু মারা যাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মশা তাড়ানোর জন্য দেওয়া ধোঁয়ার আগুন থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক।
কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিস অফিস সাময়িক ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজ উর রহমান জানান, আমরা আগুন লাগার ঘটনা মুটো ফোনে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা করে দেই। আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তারপরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।
আগুনে ৪টি গরু পুড়ে মারা যায় এবং ৪টি গরু পুড়ে দগ্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি থাকা আরো দুটি গোয়ালঘর পুড়ে যায়, তবে সেই গোয়ালঘরে থাকা গরু কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সবমিলে প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এনামুল হক জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।