সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
ঘাটাইলে ৩ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের নির্মাণ কাজ
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:৩৩ PM
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দেওপাড়া ইউপির খাকুরিয়ার ৫২ মিটার ব্রিজের নির্মাণকাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। একপাশে অসমাপ্ত ব্রিজ আর অন্য পাশে বিকল্প কাঁচা রাস্তা ৩ বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলা এবং কাজের এমন ধীর গতিতে ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ৪১ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যায়। ব্রিজটি পুননির্মানের জন্য ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৪ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকা ব্যায়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ঢাকা এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েণ্টভেঞ্চার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি স্থানীয় জনৈক সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে দেয়। সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করে। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাঁদা মাটি দিয়ে পায়ে হাটা রাস্তা তৈরি করে। তিনি যথা সময়ে ব্রিজের কাজ শুরু করলেও ২০২২ সালে এসে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো কাজটি শেষ করতে পারেনি। ১/২ মাস  কাজ করার পর অজ্ঞাত কারণে ব্রিজের কাজ ফেলে রেখে উধাও হয়ে যায়। 

স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, আমাদের দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ব্রিজের কাজ শেষ করা হয়। বহু কাঙ্খিত খাকুরিয়ার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে আমরা বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ ৩ বছরেও শেষ করতে পারেনি। অনেকদিন ধরে নির্মাণ কাজ একদম বন্ধ তাতে ৫ বছরে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় ধরে ব্রিজ না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ধলাপাড়াসহ দেওপাড়া ইউনিয়নের সরাশাক, কালিকাপুর, কোচপাড়া, পাঞ্জারচালা, শিবেরপাড়া, বাদে আমজানী, তালতলা, দেওপাড়া, কালিয়ান, গান্দী, চাম্বলতলা, রহমত খার বাইদ, রানাদহ, চৈতার বাইদ, মলাজানী, যুগিয়া টেঙ্গর, কুমারপাড়া, গানজানা, মাকড়াই, মাকড়াই ভবানী, মালেংগা, গগুঘোষ, চৌরাশা, কোচক্ষিরা, কাপাসিয়া, বারইপাড়া, ভোজদত্ত, হরিণাচালা, কান্দুলিয়াপাড়া, করিমের পাড়া, কাকুরিয়া, কালু কাছড়া, খামার কাছড়া, দেলুটিয়া, ভাগলের পাড়া, ভাবনদত্ত, ঘোড়া মারা, বানীভাসা গ্রামের মানুষ।

দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলু বলেন, প্রায় ৩ বছর যাবৎ ব্রিজটি এভাবে স্থগিত রয়েছে। দেওপাড়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের ৪১টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। আমি সবসময় দেখেছি যে মানুষ খুব ভোগান্তির মধ্যে আছে। ঠিকাদারকে বার বার চাপ দিয়েও কোন লাভে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পেয়ে তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। 

উপজেলা প্রকৌশলী এ. কে. এম হেদায়েত উল্ল্যাহ জানান, ধলাপাড়া,দেওপাড়া ও শিমলা রোডে আমাদের ৫২ মিটার ব্রিজের কাজ চলমান আছে। আমাদের প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আমাদের যে মূল ঠিকাদার জেলে থাকার কারণে মূলত অসুবিধাটি হয়েছে। খুব দ্রুতই নতুন করে নির্মান কাজ শুরু হবে।

জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্রিজের নির্মাণকাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করছি।
 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত