চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্রী নাইমা হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সংম্মেলন করেছে নিহতের মা-বাবা। সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সংম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দায়পুখরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে প্রতিপক্ষরা মাজারুলের স্ত্রী রিনি বেগমকে মারধর করে। এসময় স্কুল পড়ুয়া নাইমা তার মাকে বাঁচাতে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে বিবস্ত্রসহ গুরুতর জখম করা হয়।
পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ জানুয়ারি নাইমা মারা যায়। এ ঘটনায় পরের দিন শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
কিন্তু ওই মামলার এজাহারে শিবগঞ্জ থানার এসআই সোহেল রানা নাইমা কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে লিখিয়ে নিয়ে বাদীর স্বাক্ষর নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু নাইমা কীটনাশক পান করেনি বলে দাবি করেন তার মা রিনি বেগম। তিনি অবিলম্বে তার মেয়ে নাইমা হত্যার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত নাইমার বাবা মাজারুল, চাচা, আসগর আলী, আব্দুর রশিদ, তার চাচাতো ভাই আব্দুর রকিসহ পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জরে ধরে মারামারির ঘটনা ঘটলে অভিমান করে নাইমা কীটনাশক পান করে এবং রাজশাহী মেডিকেলে কয়েকদিন পর মারা যায়। এদিকে ওই মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুত পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।