টাকা দেনা পাওনা নিয়ে আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। নিহতের পরিবারের দাবি পুলিশ ও মামলার বাদি মিলে তাড়া করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নিহত ঠিকাদারের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। দুই সন্তানের জনক নিহত ওই ঠিকাদার মঠবাড়িয়া পৌরশহরের সবুজনগর মহল্লার আব্দুল মন্নান মৃধার ছেলে।
জানাগেছে, ঠিকাদার হালিম মৃধার বিরুদ্ধে অপর এক ঠিকাদার মো. নূরুজ্জামান টাকা লেন দেন সংক্রান্ত আদালতে একটি চেকের মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পুলিশ বুধবার রাত একটার দিকে আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। এসময় হালিম একই মহল্লায় বসবাসরত আপন বোন রুমি বেগম এর নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঠিকাদার হালিম তিনতলা ভবনের ছাদে উঠে যায়। এরপর কি ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
নিহত ঠিকাদার হালিম মৃধার মেজ ভাই মামুন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ রাত দেড়টার দিকে আমার বাসায় এসে আমাকে জোর জবরদস্তি করে বলে, আপনার বোনের বাসার পিছনে কি যেন পড়ার শব্দ হইছে দ্রুত চলেন। এক প্রকার টেনে হিচড়ে পুলিশ আমাকে বোনের বাসার সামনে নিয়ে যায়। এসময় মামলার বাদিকে ভবনের সিড়ি দিয়ে নামতে দেখি। পুলিশ আমাকে ভবনের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে বেড়ের ভেতর ভাইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ হতে একটি হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা চলছে বলে জানাগেছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত ঠিকাদারের লাশ ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত ঠিকাদারের নামে দুইটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ঘটনার সময় টহলরত পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা যেতে পারে। অন্যকোন ঘটনা থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়া যাবে।