সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ ৯ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ২৩ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ বুলেটিনে সংবাদ প্রকাশের পর সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪, ৪:৩১ PM আপডেট: ০৫.০৩.২০২৪ ৮:০৫ PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে বাল্লা খালের উপর নির্মাণ করা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকায় সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর গত সপ্তাহ থেকে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সেতু নির্মাণের প্রায় এক বছর পরও দুই দিকে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এ অবস্থায় ১১ গ্রামের মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন নিজেদের উদ্যোগে মাটি ও বালুর বস্তা ফেলে কোনোরকমে যাতায়াত করছে। উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বাল্লা খালের ওপর নির্মিত এই সেতুটি মাঝিগাছা ও নয়ামুড়া গ্রামকে যুক্ত করেছে। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ চলাচল করে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়কে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে মাটি ভরাট শেষ করে ইটের শুরকি ফেলা হচ্ছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর মাঝে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ২ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে মেসার্স লোকমান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। প্রায় এক বছর আগে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সেতু দিয়ে নয়ামুড়া, কর্মমঠ, হরিপুর, ধর্মনগর, রাজ মঙ্গলপুর, ঘাগুটিয়াসহ আশপাশের ১১ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়া হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্মমঠ উচ্চ বিদ্যালয়, টনকি ছাদেকুল উলুম আলিম মাদ্রাসা, মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ও গোপিনাথপুর আলহাজ শাহ আলম কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ সেতু ব্যবহার করে চলাচল করে। সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় তাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প পথ হিসেবে টনকি অথবা নয়া বাজার হয়ে গোপিনাথপুর দিয়ে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

মনিয়ন্দ পাথাইরাটেক এলাকার বাসিন্দা কৃষক আবুল মিয়া বলেন, আমাদের চলাচলের জন্য দীর্ঘদিনের যে ভোগান্তি ছিল তা এই সেতু এবং সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষে, শেষ হতে যাচ্ছে।এতে করে আমাদের খুব ভালো লাগছে। 
নয়ামুড়া গ্রামের কৃষক মো: বাছির মিয়া বলেন এই কাজটি শেষ হলে আমাদের যে কি উপকার হবে তা বলে শেষ করা যাবে না।এতদিন পাঁচ-ছয় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হতো তা শেষ হবে।জমি থেকে সহজে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো। 

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলেও এত দিন দুই পাশে পানি ছিল। যে কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ বাকি ছিলো। এনিয়ে বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে আমরা ঠিকাদারকে অফিসে এনে কাজটি দ্রত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেই। গত সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। গাইড ওয়াল ও মাটি ভরাটের কাজ শেষ করে ইটের খোয়া ফেলা হচ্ছে। দুইপাশে ব্লক বসানোর পর কার্পেটিং করা হবে।আশা করছি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে কাজটি শেষ হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত