যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ইছামতি নদীতে ডুবে যাওয়া মশিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তার শরীরে বেঁধে রাখা ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এর আগে রোববার মশিয়ার রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। বিজিবি-বিএসএফ নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি। অবশেষে তার মরদেহ ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করে বিজিবি। নিহত মশিয়ার উপজেলার গোগার হরিসচন্দ্রপুর গ্রামের রহিম বক্সের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে নিয়োজিত নানান নিরাপত্তা সংস্থার নজর এড়িয়ে সম্প্রতি যশোর সীমান্তপথে ভারতে বেড়েছে স্বর্ণ পাচার। গত রোববার বাড়িতে ছিলেন মশিয়ার। এদিন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান প্রতিবেশী হাবিব, জামাল ও রহিম বক্স। এর কিছুক্ষণ পর সোনা পাচারের সময় তাকে ইছামতিতে ডুবতে দেখেন স্থানীয়রা।
পরে পুলিশ, বিজিবি ও ভারতীয় বিএসএফ খবর পেয়ে যৌথভাবে ডুবুরি দিয়ে দুদিন ধরে নদীতে তল্লাশি চালিয়েও তার মরদেহ পায়নি। অবশেষে ৪ দিন পর ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে নদীতে তার মরদেহ ভেসে উঠে। পরে বিজিবি তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার শরীরে বাঁধা অবস্থায় ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এদিকে স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িত মূলহোতারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
শার্শার গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তবিবর রহমান জানান, স্বর্ণপাচার করতে গিয়ে প্রাণ গেছে মশিয়ারের। তবে যারা তাকে এ পথে নামিয়েছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ২১-ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আলম জানান, মশিয়ার রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় হাবিব নামে একজন স্বর্ণ পাচারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, বিজিবি সদস্যরা নদী থেকে মশিয়ারের মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।