গত বৃহস্পতিবার আমরা ক'জন রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের বাজারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় শাক সবজির দাম জানার জন্য কয়েকজন বিক্রেতার সাথে আলাপ করি।
বেগুন ভালোটা ১৫টাকা থেকে ২০টাকা কেজি। একটু নিম্ন মানেরটা ১০টাকা কেজিতে বিক্রয় হচ্ছে। পেয়াজ খুচরা ৫০টাকা কেজি, বেশি নিলে ৪৫টাকা কেজি। রসুন ১২০টাকা কেজি। আড়তে আরো কম।
শসা ৩০টাকা থেকে ৪০টাকা কেজি। কিছুদিন আগে মানে ৫/৭ দিন আগে এই সমস্ত দ্রব্যের দাম ছিল দ্বিগুণ কিংবা আরো বেশি। ক্রেতারা এই রোজার মাসে কিছুটা হলেও স্বস্থি পেয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় খুচরা ও পাইকারি বাজারের শাক সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। ফলে স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতাদের মাঝে।
রমজানের প্রথম দিনের চেয়ে এই ৯দিনের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজারগুলোতে চলতি মৌসুমের কাঁচা শাক-সবজির দাম ছিল দ্বিগুণ, বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার(২১ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দুয়া পৌরবাজার ও উপজেলার হাট- বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা শাকসবজি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ।
দেশি আলু ৭০ থেকে কমে ৫০টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৪০টাকা,
টমেটো ৬০ থেকে ৪০টাকা,
শিম ৫০ থেকে ৩০টাকা,
ফুলকপি ৪০থেকে ২০টাকা,
বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০টাকা, লালশাক ২০ থেকে ১০টাকা, পালংশাক ৩০থেকে ১৫টাকা, লাউশাক ৩০ থেকে ১৫টাকা,
টমেটো ৬০ থেকে ৩০টাকা,
ধনিয়া পাতা ৪০থেকে ৩০টাকা,
লেবু হালি ৪০ থেকে ২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি,
পেঁয়াজ ৯০ থেকে কমে ৫০টাকা,
রসুন ১৫০ থেকে কমে ১০০টাকা,
শঁসা ১০০ থেকে কমে ৪০টাকা,
কাঁচামরিচ ৮০ থেকে কমে ৬০টাকা, ক্ষিরা কেজি ৮০ থেকে কমে ৩০টাকা, গাজর ৪০ থেকে কমে ২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০টাকায়। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৫টাকা। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৩০টাকা এবং চিনি ১৫০টাকা।
বাজারে সবজির দাম কমলেও গরুর মাংসসহ তেল, ডাল, ছোলা চিনির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অবশ্য এসবের দাম আগের মত আছে।
খুচরা শাকসবজি ক্রেতা সোহেল রানার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এলাকায় চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচাসবজি চাষাবাদ হওয়ায় কয়েক দিনের ব্যবধানে শাকসবজির দাম কমে যাওয়ায় আমরা ক্রেতা সাধারণ হাটবাজার থেকে সবজি ক্রয় করতে পারছি। কিছুদিন আগে সবজির দাম ছিল হাতের নাগালের বাইরে। রোজার মাসে আর যেন দাম না বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। এই দাবিটুকুই করছি ।
দৈনিক বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছবি মিয়াসহ অনেকেই জানান, বাজারে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজির আমদানি হওয়ায় সবজির দাম আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
এব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা যায় পাশাপাশি ব্যবসায়ী যাতে সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল স্টক করে সংকট তৈরি করতে না পারে,সে জন্যে বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।