কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে মোট সাতটি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ জুন) সকালে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবির এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাফর আলম চকরিয়া থানার পাঁচটি এবং পেকুয়া থানার দুটি মামলার আসামি। এর মধ্যে চকরিয়া থানার মামলাগুলোর মধ্যে চারটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা রয়েছে। পেকুয়া থানার দুটি মামলাও হত্যা সংক্রান্ত। এসব মামলায় মোট ২৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানির সময় জাফর আলমকে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয় এবং ৯টা ৩৭ মিনিটে শুনানি শেষে তাঁকে চকরিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজনৈতিক উত্তেজনা:
সাবেক এমপিকে আদালতে হাজিরের খবর পেয়ে চকরিয়া থানা সড়কের মাথা এলাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা সমাবেশ করে জাফর আলমের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন ফরায়জী।
অন্যদিকে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী দাবি করেন, জাফর আলমকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও এনামুল হক।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, রিমান্ড শুনানিকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ আদালত ও আশপাশের এলাকায় তিনস্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলে। বৃষ্টির কারণে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ১৪ দিনের রিমান্ডের আওতায় জাফর আলমকে থানায় নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।