সড়কে দুর্ঘটনা এরাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নে স্থানীয় ও হাইওয়ে সড়কে চলাচলরত মাটি বহনকারী অবৈধ ট্রলি চলাচল বন্ধ করে ব্যাপক সন্তুষ্টি অর্জন করেছে পুলিশ।
সড়কে দুর্ঘটনা এরাতে পুলিশের এই মানবিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন বৈধ যানবাহনসহ পথচারী ও স্থানীয়রা।
ফরিদপুুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম এর নির্দেশক্রমে আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নিজে মাটিকেটে বিক্রয়স্থল জাহাপুর ইউনিয়নের মনোহরদিয়া গ্রামে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীকে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানান।
ওই এলাকায় তিন ফসলি জমি ধ্বংস করে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রয়ের ফলে একদিকে দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি, অন্যদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীন সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
পুলিশের এই মহতি উদ্যোগের কারনে জনমনে সস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, জাহাপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক মাটি ব্যবসায়ী দির্ঘদিন যাবৎ তিন ফসলী জমির মাটি অল্প টাকায় ক্রয় করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে অবৈধ ট্রলি গাড়ীতে বোঝাই করে ওই মাটি বিক্রয় করছেন ইট ভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়।
এতে করে নতুন পুরাতন রাস্তা গুলো নিমিষেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটি সরবরাহকালে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ট্রলি ও ড্রামট্রাক থেকে রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে মাটির স্তুপ পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীন সড়ক।
অন্যদিকে ধুলাবালিতে আশেপাশের পরিবেশ ও জনজীবন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এদিকে পাঁকা রাস্তায় মাটি বোঝায় ট্রলি ও ড্রামট্রাক থেকে খসে পড়া মাটির উপরে একটু বৃষ্টি পড়লেই সেসব সড়কে স্লিপ কেটে ঘটতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা।
মাটি ব্যবসায়ী প্রভাবশালী হওয়ার কারনে গ্রামবাসিরা তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাইনা বলে জানান গ্রামবাসীরা।
জানাযায়, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ ২০১৩ সালের ৫৯ নং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষি জমি হইতে মাটি কাটা বা সংগ্রহ করে ইটের কাচামাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না।
যদি কোন ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দণ্ডেদন্ডিত হইবেন।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত বা ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করিয়া কোন ব্যক্তি ভারি যানবাহন দ্বারা ইট বা ইটের কাচামাল পরিবহন করিতে পারিবেন না।
যদি কোন ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তা হইলে তিনি ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
এসব আইন থাকার পরও ভূমিদস্যুরা আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ এরিয়ে এসব কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এবিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম জানান, আমি সংবাদ পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়ে সড়কে চলাচলরত মাটি বহনকারী অবৈধ ট্রলিগাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।