নাটোরের গুরুদাসপুরে বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের বেতন ভাতা না পাওয়া ছয় শিক্ষক কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সত্য নয় মর্মে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আব্দুর রশীদসহ বেতন ভাতা না পাওয়া সাত শিক্ষকের মধ্যে জিএম কামরুজ্জামান, মোহাম্মাদ আলী জাফর, প্রশান্ত কুমারসহ অনেক শিক্ষক কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ বলেন- গত ২১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দৈনিক ও নিউজ পোর্টালে বিভিন্ন শিরোনামে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তাদের অভিযোগ করার পূর্বেই ৩ ডিসেম্বর সাত শিক্ষকের বেতন ভাতার চাহিদা পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
আগামী এক মাসের মধ্যে তারা বেতন ভাতা পাবেন বলে আশা রাখি। কিন্তু তার আগেই তারা একটি পক্ষের উস্কানিতে আমার বিরুদ্ধে উৎকোচ চাওযার মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ প্রকাশ করান। বরং ওই শিক্ষকরাই স্বপ্রনোদিতভাবে আমার বাসায় এসে টাকার খাম দিতে এলে গ্রহন না করে আমি তাদের ফিরিয়ে দেই। এরপর থেকে ওই শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে আমার ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করে চলেছেন।
অভিযোগকারী প্রভাষক মো. শামসুল হক, আব্দুল মাওদুদ, মো. শাহীন আলম ও মো. আনোয়ার হোসেন বলেন- গেজেটের পর বেতন ভাতার চাহিদার জন্য তারা অধ্যক্ষ একরামুল হককে বার বার অনুরোধ করেন। কিন্তু উৎকোচ না পাওয়ায় অধ্যক্ষ তাদের পাত্তা দেননি।
সাত শিক্ষকের মধ্যে জিএম কামরুজ্জামান, মোহাম্মাদ আলী জাফর, প্রশান্ত কুমার বলেন- অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে আমরা তিনজন কিছু জানিনা। একই সাথে নিয়োগ হওয়ায় অভিযোগের সাথে আমাদের নাম রয়েছে। অধ্যক্ষ আমাদের কাছে কোনো উৎকোচ চাননি। তাছাড়া অধ্যক্ষের পাঠানো চাহিদাপত্র মোতাবেক ঈদের আগে বা পরে ওই চারজনসহ আমরা সাত শিক্ষকই বেতন ভাতা পাবো।
প্রভাষক মো. হাসিবুল হাসান বলেন- প্রভাষক আব্দুর রশীদ ও শামসুল হকের অডিও ফোনালাপে প্রথমেই শামসুল হক বলেন ‘‘অধ্যক্ষ আমাদের কাছে কোনো উৎকোচ চাননি বরং আমরাই কিছু দিতে চেয়েছি কলেজের জন্য’’। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।