২০২৬ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ চারটি ডিসিপ্লিনে অংশগ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
গেমসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, বক্সিং ও জিমন্যাস্টিক্সে। তবে ভারত্তোলন, জুডো এবং ৩x৩ বাস্কেটবলে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গেমসগুলোর মধ্যে কমনওয়েলথ গেমসেই একমাত্র স্বর্ণপদক জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। শ্যুটিংয়ে রয়েছে একাধিক পদক। ২০১৮ সালের গোল্ডকোস্ট গেমসে শাকিল শ্যুটিংয়ে রৌপ্য পদক জয় করেন। তবে ২০২২ সালের বার্মিংহাম আসরে শ্যুটিং ও আরচারি না থাকায় বাংলাদেশ ছিল পদকশূন্য।
এবারও শ্যুটিং না থাকায় বড় কোন সাফল্যের আশা নেই বলে মনে করছে বিওএ। তবে ভবিষ্যতের জন্য গঠনমূলক প্রস্তুতির দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।
সভায় আসন্ন এশিয়ান ইয়ুথ গেমস ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমস নিয়েও আলোচনা হয়। ফেডারেশনগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ডিসিপ্লিন ও খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ (উল্লেখ্য: ওয়াকার-উজ-জামান নয়, এটি সঠিক হলে সংশোধন করতে হবে) ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন অলিম্পিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সামগ্রিক অগ্রগতি বিষয়েও কথা হয়।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সভায় উপস্থিত থেকে ক্রিকেট উন্নয়নে মতামত দেন। তিনি বলেন, ‘সকল ডিসিপ্লিন নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে। সামনে একসঙ্গে কাজ করে আমরা বাংলাদেশের খেলাধুলার মান আরও এগিয়ে নিতে পারব।’
অন্যদিকে, ভারত্তোলন ফেডারেশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সব ফেডারেশন নিজেদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বলেছে। আমরা কোচিং, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের ঘাটতির বিষয়গুলো তুলে ধরেছি, বিওএ এগুলো গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।’
সভায় জানা যায়, ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়া প্রায় সব ফেডারেশনই আর্থিক সংকটে রয়েছে। এই সংকট মোকাবেলায় ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় বিওএ।