গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদের চালা গ্রামে আসোয়াদ কম্পোজিট কারখানার ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, মান্না মাস্টারের ছেলে রনি, আফাজ উদ্দিনের ছেলে মোস্তফা ফকির, নুর ইসলামের ছেলে পারভেজ ও শফিকুল।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শ্রীপুরের বিভিন্ন শিল্পকারখানার ঝুট ব্যবসার পালা বদল হয়। তখন পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের বেড়াইদের চালা গ্রামে অবস্থিত আসোয়াদ কম্পোজিট কারখানার ঝুট ব্যবসা শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগ নেতা মোরছালিন মামুন ও পৌর মেয়র আনিছুর রহমানের ছোট ভাই হাফিজুর রহমানের মধ্যে সমহারে দু'ভাগে বণ্টনের মাধ্যমে সমঝোতা হয়। কিন্তু আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।এতে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়।সেই বিরোধের জের ধরে রবিবার সকালে দা লাঠি নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন দু-পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হয়।
হাফিজুরের লোকজন প্রথমে মামুনের লোকজনকে ধাওয়া দিলে পাল্টা জবাব দেন বলে মোরছালিন মামুন দাবি করেন।
হাফিজুর রহমান জানান, আমার লোকজনের সাথে তার (মামুনের) লোকজনের গন্ডগোল হবে কেন, মামুন ফিফটি পার্সেন্ট, আমি ফিফটি পার্সেন্ট, তার মাল সে নেয়, আমার মাল আমি নেই, তার সাথে আমার কোন বাজাবাজি নেই। গন্ডগোল হয়েছে পারভেজ, মোস্তফার সাথে। তারা তো মামুনের লোক। তাদের পার্টনারের সাথে তাদের বাজাবাজি। আমার সাথে কিছু না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি তদন্ত সাখাওয়াত হোসেন জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।