সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে তাপদাহ বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে বেড়েছে ঘনঘন লোডশেডিং, ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। শহরে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও গ্রামে গড়ে ৫-৬ ঘণ্টা হচ্ছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে জানা যায়, চলতি মাসের প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে এরই মধ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। কয়েক দিন ধরে এলাকাভেদে দিনে ও রাতে ছয়-সাত ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার বিদ্যুৎ গেলে প্রায় ১ ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা পর আসছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। এতে প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।
উপজেলার আব্দুল মালেক বলেন, বিদ্যুৎ আমাদের এলাকায় মাঝে মাঝে আসে। রাত দিন সমান করে লোডশেডিং হচ্ছে। একবার গেলে ২ ঘন্টাও বিদ্যুৎ আসে না। আমরা রাতে ঘুমাতে পারছি না। অতিরিক্ত গরম, দিনের বেলাতেও বিদ্যুৎ ঠিক মতো থাকছে না।
মাটিরাঙ্গা আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্মকর্তা যত্ন মানিক চাকমা'র অফিসে গিয়ে না পেয়ে মুঠোফোন যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে মাটিরাঙ্গা আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাটিরাঙ্গায় চাহিদা প্রতিদিন ৬ মেগাওয়াট। সেখানে আমরা পাচ্ছি তিন থেকে সাড়ে তিন মেগাওয়াট। যার ফলে এই উপজেলাতে লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে।