জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র আবাসিক হল বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল। প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর এই হলে বন্ধ হয়ে আছে মেডিকেল সেন্টার।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র ছাত্রী হলে থাকেন প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন ছাত্রী। মেডিকেল সেন্টারের দরজায় তালা জুলে আছে। নেই কোনো ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবা। সামান্য অসুস্থতা কিংবা ব্লাডপ্রেশার মাপতেও ছাত্রীদের ভরসা নিকটস্থ হাসপাতাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারটি সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকায় বিকাল কিংবা সন্ধ্যায় কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে যেতে হয় আশপাশের হাসপাতালগুলোয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয় তাদের।
এ ছাড়া জবির ছাত্রীহলের তৃতীয় তলায় একটি মেডিকেল সেন্টার থাকলেও সেই রুম কখন খোলা হয় তা জানেন না হলে অবস্থানরত ছাত্রীরা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সার্বক্ষণিক তালাবদ্ধ থাকে ছাত্রীহলের মেডিকেল সেন্টার। সাইনবোর্ডেয় আটকে আছে, নেই কোনো স্বাস্থসেবা কার্যক্রম।
ছাত্রীদের অভিযোগ, নামেমাত্র এই মেডিকেল সেন্টার শুধু লোক দেখাতেই। আবাসিক হলের মেডিকেল সেন্টারটি বন্ধ না রেখে ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করার দাবি শিক্ষার্থীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, রাতে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেয়া যায় না। অসুস্থ সহপাঠীকে নিয়ে ছুটতে হয় হাসপাতালে। এতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেডিকেল সেন্টারটি চালু থাকলে অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া যেত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক আবাসিক ছাত্রী বলেন, মেডিকেল সেন্টার সবসময় বন্ধ থাকে। ডাক্তার নেই, নেই কোনো কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলেই এটিকে দ্রুত চালু করতে পারে। রাতে কেউ অসুস্থ হলে তাকে আশেপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও সমস্যা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ রয়েছে। তবে ডাক্তার না থাকায় বন্ধ রয়েছে মেডিকেল সেন্টার। প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে মেডিকেল সেন্টার ব্যবহার করার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আমি কথা বলেছি। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি।